
বুধবার সকালে SAIL-এর মালিকানাধীন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে একটি গ্যাস-লিকের ঘটনায় দুইজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন, আর তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ।
ঘটনা ঘটেছে প্ল্যান্টের একটি বেসিক অক্সিজেন ফার্নেস রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সময়; এই সময় “টক্সিক গ্যাস” বেরিয়ে আসে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত ও নিহতদের তথ্য
- নিহত শ্রমিকদের নাম — আকাশ বদ্যকার (২৫) ও অনুপ সরকার (২৬) ।
- আহতদের মধ্যে কেউ কেউ কাজের সময় গ্যাসের ঘ্রাণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মোট আহতের সংখ্যা ছিল ৩–৫ জন, যাদের মধ্যে দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ও বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে ।
তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্ধার
- প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরেই দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হয় এবং আহত শ্রমিকদের স্থানীয় DSP হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বল্প ও উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয় ।
- DSP কর্তৃপক্ষ উচ্চ-স্তরের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, যাতে দুর্ঘটনার মূল কারণ ও ভবিষ্যতের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নির্ধারণ করা যায় ।
সম্ভাব্য কারণ ও নিরাপত্তা ব্যর্থতা
- দুর্ঘটনার পেছনে রক্ষণাবেক্ষণ সময় নিরাপত্তা বিধি-উলঙ্ঘন বা যন্ত্রাংশে ত্রুটির কথা উঠছে ।
- শ্রমিক ইউনিয়ন ও SAIL উভয়েই দাবি করেছে—“ বিষাক্ত বা টক্সিক গ্যাস” লিক হয়েছে, যা সরাসরি হত্যু ও অসুস্থতার মূল কারণ ।
শিল্প-নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্ন
- দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে মঘত গ্যাস-লিক ঘটনা নতুন নয়—২০১৭, ২০২২ সংস্করণ মতো এই ঘটনাগুলো শিল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতিতে বড় ফাঁক ফেলে দিচ্ছে n।
- শ্রমিকদের বক্তব্য, অনেক সময় নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলা হয় না—অভিযোগ অনুযায়ী, বিষিয় পরিস্থিতিতে সঠিক পিপিই বা নিরীক্ষণ ব্যবস্থা বড় পরিমাণে অনুপস্থিত ছিল ।
কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি
- SAIL প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত কমিটি ১০ দিনেই রিপোর্ট দেবে, ও ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আসবে ।
- দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে “উচিত ক্ষতিপূরণ” দেওয়া হবে। DSP–এর শ্রমিক ইউনিয়নও এই দাবি তুলেছে ।
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে এই গ্যাস-লিক দুর্ঘটনা শুধু দুই প্রাণহানির ঘটনা নয়—এটি শিল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং প্রস্তুতিতে বড় ধরনের ফাঁকের বহিঃপ্রকাশ। তদন্ত রিপোর্ট ও প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিমতো সংস্কার যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আরও ক্ষতি হতে পারে।