গুরুতর বিমান দুর্ঘটনায় ফের কেঁপে উঠল গুজরাটের আকাশ। অহমদাবাদে ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান।

গুরুতর বিমান দুর্ঘটনায় ফের কেঁপে উঠল গুজরাটের আকাশ। অহমদাবাদে ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান। এর আগে, আকাশে ভেসে থাকার সময় ‘মে ডে কল’ পাঠিয়ে বিপদের বার্তা দিয়েছিলেন পাইলট। কিন্তু তার পর আর কোনও সাড়া মেলেনি। ফ্লাইটটি আছড়ে পড়ে মেঘানিনগরের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায়। আর তাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক পরিণতি।
কী ঘটেছিল বৃহস্পতিবার দুপুরে?
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৯ মিনিট। অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার
।AI-171 নামের বিমানটি। রানওয়ে ২৩ থেকে উড্ডয়নের এক মিনিটও কাটেনি, তখনই বিপদ সংকেত পৌঁছয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)-এর কাছে — “Mayday, Mayday, Mayday!”
এটি ছিল একটি স্পষ্ট বিপদের বার্তা। কিন্তু তারপরই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ। ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় উঠতেই আচমকাই দ্রুত গতিতে নীচে নেমে আসতে শুরু করে। কয়েক সেকেন্ড পরেই সেটি মেঘানিনগরের এক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ধাক্কা মারে। মুহূর্তেই চারপাশে আগুন, ধোঁয়া, এবং চিৎকার।
AI-171 বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন, যার মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ছিলেন ক্রু সদস্য।
দিল্লি থেকে অহমদাবাদ হয়ে বিমানটি লন্ডনের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
এই দুর্ঘটনা গোটা বিমান পরিষেবা জগতে শোকের ছায়া ফেলেছে।
কী এই ‘মে ডে কল’?
‘Mayday’ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ m’aider (মানে “আমাকে সাহায্য করুন”) থেকে।
যখন পাইলট অনুভব করেন যে বিমানটি গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে—যান্ত্রিক ত্রুটি, ইঞ্জিন বিকল, আবহাওয়ার বিপর্যয়, বা কোনও মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি—তখন ATC-কে জানাতে “Mayday, Mayday, Mayday” বলা হয়।
এটি সর্বোচ্চ বিপদের সংকেত। এই সংকেত পেলে ATC সঙ্গে সঙ্গে জরুরি ব্যবস্থা নেয়।
তবে যদি বিপদ অল্প হয়, কিন্তু সতর্কতার প্রয়োজন হয়, তখন ‘প্যান প্যান’ (Pan-Pan) কল দেওয়া হয়।
তদন্তে কী জানা যাচ্ছে?
DGCA (Directorate General of Civil Aviation) জানিয়েছে, পাইলট ‘মে ডে কল’ করার সঙ্গে সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তদন্তকারীরা বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন, যাতে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি বা ইঞ্জিন ফেলিউরের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।